রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো, কালের খবর :
চাহিদামতো টাকা না পেয়ে ইয়াবা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজিদ বোস্তামী থানার ৮ পুলিশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ জুলাই রাত ৮টার দিকে বায়েজিদ থানার ৮ পুলিশ সদস্য সিভিল পোশাকে বায়েজিদ মুরাদনগর জামাল কলোনির ১৫ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে। পুলিশ সদস্যরা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আসার কথা জানায়। এ সময় মামলার বাদী আব্দুল ওয়াহেদ তার আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে একটি জমি বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করেন। পুলিশ সেখান থেকে আবদুল ওয়াহেদসহ চারজনকে মারতে মারতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানা হাজতে আনার পর আব্দুল ওয়াহেদ ও মো. হোসেনের বিকাশের পিন নম্বর দেয়ার জন্য চাপ দেয় পুলিশ। এতে অস্বীকৃতি জানালে আব্দুল ওয়াহেদ ও তার সঙ্গীদের মারধরের হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ফোন করে থানায় আসতে বলে। খবর পেয়ে আব্দুল ওয়াহেদের ভাই ছিদ্দিক, বোন মনি আক্তার ও শারমিন আক্তার থানায় আসেন।
তাদের কাছে আটককৃত চারজনকে থানা থেকে ছাড়াতে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। এসআই শরীফ বলে- আমরা রিকশাওয়ালাকে ধরে আনলেও ৮০ হাজার টাকা করে নিই। টাকা না দিলে দুই-চারটা মামলা দিয়ে চালান করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। তখন এসআই নুরন্নবী মামলা হয়ে গেছে এবং মামলা হালকা করে দেবে মর্মে আবদুল ওয়াহেদের বড় বোনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে চাহিদার টাকা না পেয়ে আবদুল ওয়াহেদকে ২৫ পিস, মো. হোসেনকে ২০ পিস, মো. হানিফকে ১৫ পিস ও আবুল হোসেনকে ২০ পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দেয়া হয়। বায়েজিদ থানায় যার মামলা নম্বর-১৮(০৭)২০২০।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারকে (উত্তর জোন) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার ও পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।